ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাস্তা বিহীন ব্রিজ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত গর্জনিয়া বাসি!

এম হাবিবুর রহমান রনি, নাইক্ষ্যংছড়ি ::
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নটি নানান সমস্যায় জর্জরিত। এই ইউনিয়নের বসবাসরত জনসাধারণের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজারের অধিক। এই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড়ের প্রবেশ মূখ ২ নং ওয়ার্ড়ের সীমানায় দক্ষিণ বড়বিল ছড়ায় সাধারণ জনগনের চলাচলের সুবিধার্তেই সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর গড়া। গর্জনিয়া-বাইশারীর পুরাতন প্রধান এ সড়ক দিয়ে এখনো বাইশারী ও গর্জনিয়া দু ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচল করছে। বিগত পরিষদের মেয়াদ কালে সাবেক স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রওশন আকতার এর প্রচেষ্ঠায় করা ব্রিজটি বর্তমানে রাস্তাবিহীন দাড়িয়ে আছে। তাদের আয়ুকাল শেষ হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলামের আমলও শেষ হচ্ছে, তার পর ও ব্রীজের সংযোগে দু’ টুকু মাটি ফেলতে পারে নাই আমাদের উন্নয়নের স্বারর্তীরা। ২য় ব্রীজ নজু মাতব্বর পাড়া হয়ে ঐতিহাসিক শাহ সোজা সংযোগ সড়কে ৩৬ লক্ষ টাকার ব্যায়ে নির্মিত। এর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ১ বছর হলো তাতেও সামান্য মাটি ফেলতে পারেনি তারা। অপর দিকে মাঝিরকাটা বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে চলছে মুরগ লড়াই। আজ থেকে ৪ বছর আগে চউই ও পল্লী বিদ্যুতায়ন সীমানা নির্দিষ্ট হয়। সে হিসেবে চউই ম্যাপ হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকা সংযোগ প্রকল্পে ম্যাপ, টেন্ডার হয়। পশ্চিম বোমাংখিল হতে বেলতলি বাজার পর্যন্ত,পশ্চিম বোমাংখিল – বোমাংখিল – মাদ্রাসা বাজার -পূর্ব বোমাংখিল কিছু অংশ কাজ হয়। বাকী অংশে কাজ শুরুর ঠিক সেই মূহুর্তে কিছু অসাধু অযোগ্য লোকদের সাথে নিয়ে মাঝিরকাটায় বেলতলি দোকানে বসে পল্লী বিদ্যুতায়নের সভা। স্থানীয়দের দাবি, সাবেক সাংসদ শহিদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর উন্নয়নের ফলক এখান্ত মুছে গেলে হয়তো গর্জনিয়া-বাইশারী সড়কটি এক সময় বিলীন হয়ে যাবে। কারন বর্তমানে গর্জনিয়া বাইশারী সড়কের মধ্যখানেই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টাইম বাজার সামান্য রাস্তা পাকা হলেও জন বহুল বটতলী হইতে সিকদার পাড়া ও টাইম বাজার হইতে বাইশারী সীমানা পর্যন্ত রাস্তাটি দেখলে মনে হয়, এখানে কোন জন প্রতিনিধি নাই। বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধা এমদাদ চৌধুরী ব্রীজ টি হলেও তাতে ৫/১০ হাজার টাকার মাটি ভরাট না করায় তাও অচল প্রায়। স্থানীয় মহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু জানান, একাকি হাতছানি দিয়ে ডাকছে সংযোগ সংরক্ষণে। আর আমাদের বিদ্যুৎ আমাদের অধিকার। মাঝির কাটায় সংযোগ হউক চউই। সামগ্রীক বিশ্লেষণে আমাদের গর্জনিয়ার অবস্থা ভাল নেই। উন্নয়নের জ্বর যেন আমাদের থেকে বিদায় হয়। দূর্নীতির মহা আকড়া থেকে গর্জনিয়াবাসী মুক্তি চাই।

পাঠকের মতামত: